,

মাধবপুরে নিলামে ক্রয়কৃত বালু বিক্রির মেয়াদ শেষ হলেও চলছে অবাদে বিক্রি :: ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আঞ্চলিক সড়ক গুলো

মাধবপুর প্রতিনিধি : মাধবপুরে নিলামে ক্রয়কৃত বালু বিক্রির মেয়াদ শেষ হলেও চলছে আবাদে বালু বিক্রি। প্রশাসনের দেওয়া নিদ্দিষ্ট সময় চলে গেলেও আইনের প্রতি বৃদ্ধাজ্ঞলী দেখিয়ে দিনে রাতে চলছে বালু বিক্রি। বালু পরিবহনের কাজে বড় বড় ট্রাক, ড্যাম ট্রাক ব্যবহার করায় আঞ্চলিক রাস্তা গুলোর দেখার দশা বিরাজ করছে। রাস্তার অনেক জায়গা ভেঙ্গে গেছে। বালুর গাড়ী গুলোর উপরে পর্দা না দেওয়ায় বালি উড়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারন লোকজন।
মাধবপুর-ধর্মঘর আঞ্চলিক সড়কটি কিছুদিন আগে কাপেটিং করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে সড়কের অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ভুড্ডা থেকে চৌমুহনী রাবার ড্যাম রাস্তাটি ভেঙ্গে পড়েেেছ। বাঁশের পিলার দিয়ে কোন রকমে টিক করা হয়েছে সড়কটি। এই ভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরেই ভেঙ্গে পড়বে এই সড়কটি। দিনে রাতে বড় বড় ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু পরিবহন করায় সরু রাস্তায় প্রায় সময় সৃষ্টি হয় যানজটের।
মাধবপুর উপজেলার মহব্বতপুর মৌজার সোনাই নদী থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক উত্তোলিত সিলিকা বালু জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে গত ৯ মার্চ হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কর্তৃক নিলাম দেওয়া হলে ৩ জন ইজারাদার ৩ টি বালুর স্তুপ ইজারা পান। তারা হলেন মেসার্স শান্ত এন্টার প্রাইজ, পারভেজ হোসেন চৌধুরী ও হেলাল মিয়া। গত ১০ মার্চ থেকে ৮ জুলাই তারিখ পর্যন্ত বালু অপসারনের জন্য আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিলাম গ্রহীতা ও তাদের লোকজন বালু বিক্রি করছে।
নিলামে শর্ত দেওয়া হয় যে, বালু পরিবহনের সময় ভারি যানবাহন ব্যবহার করে সরকারি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। কিন্তু ইজারা গ্রহীতাগন ডাম ট্রাক দিয়ে দেদারছে বালু পরিবহন করছে।
অপরদিকে সোনাই নদীর মনতলা বালু মহালটি ইজারা দেওয়া হলেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত ইজারাদারকে বুজিয়ে দেয়নি বালু মহাল টি। কিন্তু তার আগেই শুরু হযে গেছে বালু উত্তোলন ও বিক্রি।
তবে এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাহাত বিন কুতুবের সঙ্গে একাধিকবার তার ব্যবহার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।


     এই বিভাগের আরো খবর